চুলের রং পছন্দ করুন ত্বকের টোন অনুযায়ী

চুলের নতুন  রঙ বাছাই করা প্রায়শই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।সবাই চায় নিজের লুক কে রিফ্রেশ করতে , নতুন একটি লুক ক্রিয়েট করতে। পার্লার এর সাজেশন অনেক সময় সঠিক হয়না।  দেখা গেলো কালার সুন্দর হয়েছে , কিন্তু ফেস এর সাথে চুলের রং মানাচ্ছেনা।  আবার অনেকে ঘরে বসেই হেয়ার কালার করতে চান।  তখন ও কি কালার করবেন তা নিয়ে বেশ ভাবনা চিন্তা করতে হয়।   আর হেয়ার কালার করলেই সুন্দর লাগবে তা নিশ্চিত করাটা বেশ জটিল মনেহয় অনেকের কাছেই ।  তাই নিয়েই আজকের এই লিখা।  আজকের বলা পদ্ধত্বি ব্যবহার করে আপনি নিজে বসেই নিজের জন্য চমৎকার হেয়ার কালার সিলেক্ট করতে পারবেন। 

 

হেয়ার কালার বাছাই করার সর্বোত্তম উপায় হল আপনার ত্বকের টোন বুঝে কালার ব্যবহার করা।

যেমন বেশিরভাগ বাদামী ত্বকের আন্ডারটোন হয় ওয়ার্ম আন্ডারটোন।  তার চুলের কালার ও  যদি  ওয়ার্ম , ব্রাউন, নিউট্রাল  টোনের বাছাই করা হয় , তাহলে তা ফেস এর সাথে ম্যাচ করবে। 

আপনি যদি আপনার আন্ডারটোন না বুঝে থাকেন তাহলেও সমস্যা নেই।  এখনই জেনে যাবেন।  আপনার কব্জির শিরার রং দেখুন।  যদি তা সবুজাভ হয় তার মানে আপনার টোন ওয়ার্ম আন্ডারটোন।  যদি শিরার রং নীলচে সবুজ হয় তার মানে আপনার টোন নিউট্রাল। 

ওয়ার্ম টোন :

যাদের ওয়ার্ম টোন তাদের ওয়ার্ম কালার যেমন : বাদামি , গোল্ডেন ব্রাউন , ক্যারামেল ইত্যাদি কালারই মানানসই হবে। 

যদি ওয়ার্ম টোনের কেউ অ্যাশ টোন এর কালার করে তাহলে সেটা দেখতে ন্যাচারাল হবেনা।  অনেকটা স্কিন এর সাথে কন্ট্রাস্ট লুক হবে। 

কিন্তু আপনার যদি অ্যাশ শেড পছন্দই হয় তাহলে আপনার চুলের  রুট গুলি ওয়ার্ম কালারের রাখুন আর ওয়ার্ম টোন থেকে কন্ট্রাস্ট করে ashy কালার করুন পুরো চুলে। তাহলে অনেকটাই ন্যাচারাল  চুলের কালার টি।  আর আপনার টোন কেও কমপ্লিমেন্ট করবে। 

আবার আপনার চুল যদি ন্যাচারালি কালো হয় ওয়ার্ম টোন ই আপনার চুলের জন্য পারফেক্ট।  আপনি চাইলে ওয়ার্ম ব্লন্ড ও করতে পারেন।  সেক্ষেত্রে রুট গুলো কালো রাখবেন।  তাহলে কালার তা অনেকটা ব্লেনডেড এবং ন্যাচারাল লাগবে।  

 

নিউট্রাল , ওয়ার্ম এবং কুল কম্বাইন্ড টোন:

নিউট্রাল টোন ওয়ার্ম এবং কুল টোনের কম্বাইন্ড একটি টোন। এই টোনের কালার রেঞ্জ অনেক বেশি হয়।  এই টোনের জন্য অনেক রকম হেয়ার কালার মানানসই হয়। তারা ওয়ার্ম এবং কুল ২ ধরণের  কালার ই করতে পারে এবং তাদের মানায় ও।  তারা চাইলে ওয়ার্ম , কুল কালার যেমন -  গোল্ড , লাল , কপার ,অ্যাশ কালার ভালো মানায় এবং দেখতেও ন্যাচারাল লাগে।

স্কিন টোনের বাইরেও আরেকটি ব্যাপার যেটা খেয়াল রাখা লাগবে তা হলো আপনার আইব্রো এবং চুলের কালার।  এই তিনটির কম্বিনেশন একই টোনের হলে হেয়ার কালার ন্যাচারাল লাগবে   , স্কিন কে আপনার ফেসকে কমপ্লিমেন্ট করবে হেয়ার কালার।  আর আপনি ও পাবেন বেষ্ট হেয়ার কালার। 

তবে হেয়ার কালার কন্ট্রাস্ট করেও কালার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কালার তা নিউট্রালাইজ, প্রপার ব্লেন্ডিং করে ন্যাচারাল এবং আপনার পছন্দের কালারের সাথে কন্ট্রাস্ট করে আপ্পলায় করতে পারেন।  তাহলে যেকোনো হেয়ার কালার ই আপনাকে মানাবে।