শিশুর ডায়াপার পরানোর টিপস

ছোট্ট শিশুকে দুধ খাওয়ানোর মতোই প্রতিদিনের কাজের মধ্যে আরেকটি অন্যতম কাজ হলো শিশুকে ডায়াপার পরানো। যদিও প্রথম দিকে ডায়াপার পরিবর্তন করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে এটি নিয়মিত রুটিন এ পরিবর্তিত হয়। তবে ডায়াপার পরানো অনেক সহজ হলেও একটু অসাবধানতার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে তাই ডায়াপার পরানোর সময় রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল। তাই আজকে আমরা জেনে নিবো শিশুকে ডায়াপার পরানোর কিছু টিপস-

 

ডায়াপার নির্বাচন: শিশুর প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য দরকার সবচেয়ে ভালো মানের ডায়াপার নির্বাচন করা। সস্তা এবং নিম্নমানের ডায়াপার আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিশুর ডায়াপার বেছে নেবার সময় ডায়াপারের শোষণক্ষমতা, আরামদায়ক কিনা, এবং লিকপ্রুফ কিনা অবশ্যই যাচাই করে দেখে নেবেন। শিশুর বয়সের সঙ্গে ডায়াপার সাইজও নিশ্চিত করে নিবেন। 

 

ডায়াপার পড়ানোর সময় করনীয়: শিশুকে বেশি ফিটিং করে কিংবা বেশি আঁটসাঁট করে ডায়াপার পড়াবেন না কারণ এতে শিশুরা বেশ অস্বস্তিতে থাকে। প্রতি ৬ ঘণ্টার মধ্যেই ডায়াপার পরিবর্তন করে দিতে হবে কিন্তু যদি এর মধ্যে শিশু মলত্যাগ করে তাহলে সাথে সাথেই পরিবর্তন করতে হবে। স্থানটি পরিষ্কার করার পর অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ডায়াপার ছাড়া অবস্থায় রাখুন। ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় যদি ত্বকে কোন র‍্যাশ দেখা যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে এন্টিসেপ্টিক বা ডায়াপার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

 

ডায়াপার ব্যবহারে পরিচ্ছন্নতা: ডায়াপার বদলানোর সময় শিশুকে খুব যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। বেবি ওয়াইপস বা নরম কাপড় ব্যবহার করে শিশুর নিম্নদেশ পরিষ্কার করুন। শিশুকে সবসময় সামনে থেকে নিয়ে পেছনদিকে মুছে দিবেন। শিশুর হাটু এবং নিতম্বের ভাঁজ গুলোও ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। শিশুকে মোছানো শেষ হলে তার শরীর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন এবং তারপর ডায়াপার অয়েন্টমেন্ট অথবা ময়েশ্চারাইজিং বেবি লোশন ব্যবহার করুন।