কিভাবে এসি আমাদের অসুস্থ করে?

 

এই অস্থির গরমে স্বস্তির অন্যতম উপায় হলো এয়ার কন্ডিশনার  বা এসি। অফিস, মার্কেট কিংবা বাসা বাড়ি সবখানেই এখন এসির ব্যবহার। এসি এখন আর বিলাসিতা নয় যেন এক প্রয়োজনীয়তা। তবে এই গরমে এসি আমাদের স্বস্তির পাশাপাশি কিছু অস্বস্তির কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনারা কি কখনো ভেবে দেখছেন দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে আমরা কি কি অসুবিধায় ভুগতে পারি?  বিভিন্ন চিকিৎসকের ভাষ্যমতে নীরবেই আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি করে চলছে এই যন্ত্রটি। তাহলে চলুন দেখে নেই এসি ব্যবহারে ফলে কি কি সমস্যায় ভুগতে পারেন এবং তা থেকে প্রতিকারের উপায়। 

পানিশূন্যতা: এসি খুব সহজেই ঘরের ভেতরের আদ্রতা শুষে নেয় আর তাই আমাদের শরীরেও প্রচুর পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যারা বেশিক্ষণ এসিতে থাকেন তাদের পানিশূন্যতা রোধ করতে বেশি করে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা উচিত।  

ত্বক জ্বালাপোড়া: পানিশূন্যতার কারণে এবং এসিতে ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণে ত্বকে চুলকানি হয় কিংবা ত্বক জ্বালাপোড়া করে। তাই এসিতে থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।  

অ্যাজমা ও এলার্জি: দীর্ঘ সময় ধরে এসি রুমে থাকলে অ্যাজমা ও অ্যালার্জি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এসি যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে তা থেকে অনেকেরই ডাস্ট এলার্জি হয়। তাই নিয়মিত এসি পরিষ্কার করা উচিত নাহলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের ব্যথা: অক্সিজেনের অভাব এবং পানিশূন্যতার কারণে দীর্ঘসময় এসির ঠান্ডার মধ্যে থাকলে প্রচুর মাথাব্যথা হয়। যাদের মাইগ্রেনের ব্যথা আছে তাদের ব্যথা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত ঠান্ডায় এবং একটানা এসি রুমে বসে থাকা থেকে বিরত থাকা উচিত। 

ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা: অতিরিক্ত ঠান্ডা কিংবা একটানা এসি রুমে বসে থাকলে হাঁচি-কাশি থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। এমনকি কারও কারও ক্ষেত্রে গলাব্যথাও হতে পারে।  তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা তাপমাত্রা থেকে বিরত থাকা উচিত।  

সুতরাং গরম থেকে পরিত্রান পেতে আমরা এসির ব্যবহার করবো কিন্তু পাশাপাশি নিজেদের শরীরের প্রতিও যত্নশীল হবো।