গর্ভবতী মায়েরা কি রোজা রাখতে পারবে?

গর্ভবতী মায়েরা রোজার সময় প্রায়ই দ্বিধাবোধ করে থাকেন যে তারা রোজা রাখবেন নাকি রাখবেন না? রোজা রাখলে কি বাচ্চার ক্ষতি হবে?

এসব নানা ধরণের প্রশ্নে ভুগছেন মায়েরা। যেসব মায়েদের শুধুমাত্র সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই রোজা রাখতে পারবেন কিনা তা অবশ্যই জেনে নিবেন।  


Trimester Cycle:

প্রথম trimester (০-১৩ সপ্তাহ) তখন fetus এ মাত্র শিশু ডেভেলপ করতে থাকে। দ্বিতীয় trimester (১৪-২৬ সপ্তাহ) এ আপনার uterus ধীরে ধীরে ভারি হতে থাকে তাই ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় এবং fetus ও placentna আকারে বড় হয়ে যায়। এই সময় গর্ভবতী মায়েদের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত। তৃতীয় trimester (২৭-৪০ সপ্তাহ) এ  শিশু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং এ সময় ডাক্তাররা মায়েদের ব্যালেন্স ডায়েট করতে বলে থাকে।

এখন আপনি ভাবতে পারেন যে এই ৯ মাসের মধ্যে কোন সময় রোজা রাখা ঠিক হবে?

এই ৯ মাসের মধ্যে আপনি ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড ট্রাইমেসটারে রোজা রাখতে পারবেন যদি আপনি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণভাবে ঠিক থাকেন। অবশ্যই আপনি যদি একটিভ থাকেন বা আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি রোজা রাখতে পারেন। তবে হ্যাঁ, এর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।



এছাড়া, ফতুয়া আল-শায়খ ইবনে উসাইমীন অনুযায়ী গর্ভকালীন সময়ে দুটির যেকোনো একটি পরিস্থিতি হতে পারে-

১। যদি এমন হয় যে গর্ভবতী মা বেশ কর্মক্ষম এবং রোজা রাখলে তার নিজের এবং তার গর্ভের সন্তানের কোন সমস্যা হবেনা তাহলে এই পরিস্থিতিতে মাকে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে।
 

২। যখন একজন গর্ভবতী মহিলা শারীরিকভাবে বা অন্য কোন কারণে দুর্বল থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সে রোজা ভাঙতে পারে। বিশেষ করে যদি তার গর্ভের সন্তানের কোন ক্ষতির আশংকা থাকে তাহলে সে রোজা রাখবে না। ফতুয়া আল-শায়খ ইবনে উসাইমীন, ১/৪৮৭

রোজার সময় গর্ভবতী মায়েদের যা যা খাওয়া উচিতঃ

  • ইফতার ও সেহরি তে প্রচুর পানি খেতে হবে
  • ইফতারে খেজুর, ফল, প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন
  • বেশি দুর্বল লাগলে রোজা ভেঙ্গে ফেলতে পারেন
  • যেসব খাবার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায় সেহরিতে সেসব খাবার খান
  • পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন